প্রবীণদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে আমি প্রবীণদের স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, ঘরের বাইরে মাস্ক ব্যবহার করা, নিয়মিত হাত ধোয়া ইত্যাদি বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখার জন্য বিশেষ অনুরোধ করছি। বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও বেসরকারি উদ্যোগ প্রবীণদের কল্যাণে সরকারের উদ্যোগকে আরও বেগবান করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব দেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস’ পালন উপলক্ষে দেশের সব স্তরের প্রবীণ জনগোষ্ঠীর সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এ বছর ৩১তম প্রবীণ দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ‘ডিজিটাল সমতা সকল বয়সের প্রাপ্যতা’ যথার্থ হয়েছে। প্রবীণ জনগোষ্ঠী দেশের মোট জনসংখ্যার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। তারা কর্মময় জীবনে অত্যন্ত উৎসাহ উদ্দীপনা এবং আন্তরিকতার সঙ্গে দেশ তথা নিজ নিজ পরিবার ও সমাজ গঠনে অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছেন। প্রবীণদের জীবন সায়াহ্নে তাদের যথাযথভাবে দেখাশোনা করা এবং তাদের কল্যাণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া রাষ্ট্র, পরিবার তথা সমাজের দায়িত্ব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার প্রবীণদের সার্বিক কল্যাণে নানামুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। প্রবীণ ব্যক্তিদের অধিকার সুরক্ষায় জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা ২০১৩ প্রণয়ন, পিতা-মাতার ভরণ পোষণ আইন ২০১৩ প্রণয়ন, ৫৭ লাখ ১ হাজার প্রবীণ ব্যক্তিকে মাসিক ৫০০ টাকা হারে বয়স্ক ভাতা, ২৪ লক্ষ ৭৫ হাজার জনকে ৫০০ টাকা হারে বিধবা এবং স্বামী নিগৃহীতা ভাতা প্রদান করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সবাই একযোগে কাজ করার মাধ্যমে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব। আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবসের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।